বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১০

পুরোনো কবিতা

মেঘলা আকাশ বলছে ডেকে শোনো
বৃষ্টি নেবে আঁচল ভরে তুমি,
ঝড়ে যায় সে বক্ষ বিদাড়ি আমার
বোঝেনা কতটা ছিলো সে আমার দামি।

তুমি হয়তো খেলবে কিছুটা ক্ষন
নয়তো তোমার অঙ্গ নেবে ধুয়ে,
কিন্তু সে মোর সবে ধন নীল মনি
রুপসি সাজি তারি হৃদয় ছুয়ে।

তোমার আচলে গুড় গুড় সেকি গায়
আমার হৃদয় হাহাকার করে গানে,
আমার বাধন এতটা মলিন প্রায়
ছুটে যায় শুধু সে তোমারি পানে।

চাঁদ

মেঘের ঘোমটা পরে
চাঁদ আছে দূরে সরে,
জোছনায় প্রান ভেজা রাত।

মেঘ তুমি উড়ে যাও
চাঁদ ছেড়ে দূরে যাও,
সে একলার পূর্ণিমা চাঁদ।

ঘাটের নামায় বসে
কর্ণফুলির স্রোতে ভেসে,
চাঁদটাকে স্নানে ভেজা দেখছি।

ঐ ঘাটে তরি বেয়ে
চাঁদটাকে সাথে নিয়ে,
দুজনাতে একসাথে ভাসছি।

ভেসে ভেসে বহুদূরে
মাঝরাতের কিছু পরে,
মেঘ তুমি ফিরে কেন আসলে?

আমি একা ভাসি জলে
মেঘ তুমি যাও চলে,
তারে তুমি ভালো কেন বাসলে??

একটা জানালা

একটা জানালা কতবার জানি
কত কবিতায় লিখেছি,
সেই জানালায় শীত গ্রীষ্মের
কত নতুন দৃশ্ব দেখেছি।

দেখেছি চৈত্রে তপ্ত আলো
দেখেছি শীতের রাত,
সেই জানালায় দেখেছি যে আমি
বসন্তের কত প্রভাত।

সেই জানালায় দাড়িয়ে দেখেছি
বৈশাখী মাতাল ঝড়,
জানালায় সেই আপন হয়েছে
কত যে অচেনা পর।